১. জেপি মর্গান
জেপি মর্গান মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে শক্তিশালী ব্যাংক হিসেবে পরিচিত। শত বছরের বেশি সময় ধরে আমেরিকান ব্যাংকিং সেক্টরে সবচেয়ে প্রভাবশালী নাম জেপি মর্গান। ব্যাংকটি ১৮৭১ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। এটি ছিল যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসের প্রথম বিলিয়ন ডলার কোম্পানি। ২০২৪ সালের তথ্য অনুযায়ী ব্যাংকটির মোট সম্পদের পরিমাণ প্রায় ৪ ট্রিলিয়ন ডলারের কাছাকাছি। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে আর্থিক মন্দার সময়ও ব্যাংকটির উপর বিশাল কোন প্রভাব পড়েনি। ব্যাংকটি সর্বপ্রথম মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রেল ব্যবস্থার উন্নয়নের জন্য বহু অর্থ বিনিয়োগ করে। রেল ব্যবস্থার পর ব্যাংকটির দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বিনিয়োগ ছিল স্টিলের কোম্পানিগুলোতে। জেপি মর্গান ওই সময় বৈদ্যুতিক প্রযুক্তি উন্নয়নের জন্য বহু কাজ করেন এবং তিনি নিকলা টেসলার একটি প্রজেক্টে অর্থ বিনিয়োগ করেন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে যখন ব্যাংকিং কাঠামো খুবই দুর্বল ছিল তখন অর্থনৈতিক মন্দার সময় জেপি মর্গান ব্যাংক খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতো। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় ব্যাংকটি যুদ্ধবিধ্বস্ত ফ্রান্স এবং যুক্তরাজ্যকে ৫০০ মিলিয়ন ডলার লোন দিয়ে সহায়তা করে এবং এটিই ছিল ইতিহাসের সবচেয়ে বড় বৈদেশিক লোন। জেপি মর্গান যুক্তরাষ্ট্রের অন্যান্য বড় বড় ব্যাংকগুলোকে ধীরে ধীরে তাদের সাথে যুক্ত করতে থাকে যেমন Chase, Bank One ইত্যাদি। ২০০৮ সালে অর্থনৈতিক মন্দার সময় যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতিকে পুনরুদ্ধার করার উদ্দেশ্যে জেপি মর্গান ব্যাংক অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ব্যাংকটি বড় বড় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে প্রচুর অর্থ বিনিয়োগ করে রেখেছে যেমন Microsoft, Nvidia, Amazon, Apple ইত্যাদি। ২০২৪ সালের তথ্য অনুযায়ী ব্যাংকটির শেয়ার মার্কেট ক্যাপ ৫০০ বিলিয়ন ডলারের অধিক এবং এটি বিশ্বের সবচেয়ে বৃহত্তম ব্যাংক। ব্যাংকটি যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতি থেকে অর্থনীতি সকল জায়গায় প্রভাব বিস্তার করতে সক্ষম হয়েছে। ব্যাংকটির মোট কর্মচারীর সংখ্যা ২ লাখ ৫০ হাজারের অধিক। ব্যাংকটি নতুন স্টার্টআপ গুলোতেও প্রচুর পরিমাণ অর্থ বিনিয়োগ করছে এবং তাদের বিনিয়োগ করা বহু স্টার্টআপ বর্তমানে অনেক ভালো অবস্থানে আছে। ২০২৩ সালে ব্যাংকটির রেভিনিউ ছিল ১৫৫ বিলিয়ন ডলার এবং মুনাফা ছিল ৬১ বিলিয়ন ডলার। ব্যাংকটি ভবিষ্যতে তাদের কাস্টমারের সংখ্যা আরো বৃদ্ধি করতে চায় এবং জলবায়ুর পরিবর্তন রোধের সাথে যুক্ত এমন কোম্পানিগুলোতে বিনিয়োগ বাড়াতে চায়। ২০২৪ সালের তথ্য অনুযায়ী ব্যাংকটির ঋণের পরিমাণ ৪৪০ বিলিয়ন ডলারের উপরে পৌঁছেছে যদিও এটি তাদের সম্পদের তুলনায় অনেক কম তারপরেও ব্যাংকটি চায় ভবিষ্যতে তাদের এই ঋণের বোঝা কমাতে।
২. ব্যাংক অফ আমেরিকা
১৯০৪ সালে ব্যাংক অফ ইটালি প্রতিষ্ঠিত হয় এবং এটিকে পরবর্তীতে নাম পরিবর্তন করে ব্যাংক অফ আমেরিকা রাখা হয়। বর্তমানে জেপি মর্গানের পরে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম ব্যাংক হলো ব্যাংক অফ আমেরিকা। ব্যাংকটির প্রধান সদরদপ্তর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের উত্তর ক্যারোলাইনা অঙ্গরাজ্যে অবস্থিত। ১৯০৪ সালে Amadeo Peter Giannini ব্যাংক অফ ইটালি প্রতিষ্ঠিত করেন এবং এটিই পরবর্তিতে ব্যাংক অফ আমেরিকায় রূপান্তরিত হয়। ব্যাংক অফ আমেরিকা ইতিহাসের সর্বপ্রথম ব্যাংক হিসেবে Credit Card এর সেবা চালু করে। ব্যাংক অফ আমেরিকা ১৯৮৩ সালে তাদের অন্যতম প্রতিদ্বন্দ্বী ওয়াশিংটন স্টেট ব্যাংকে নিজেদের অধীনে নেয় এবং এটিই ছিল তাদের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় অধিগ্রহণ। বর্তমানে ব্যাংক অফ আমেরিকার যুক্তরাষ্ট্রের ৩৯ টি অঙ্গরাজ্যে ৩,৭১২ টি শাখা আছে এবং মোট ৩৫ টি দেশে ব্যাংকটি তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করে যাচ্ছে। ২০০৮ সালে অর্থনৈতিক মন্দার সময় যখন প্রায় সকল প্রতিষ্ঠানের খুবই খারাপ অবস্থা ছিল তখন ব্যাংক অফ আমেরিকা Countrywide Financial Corp এবং
Merrill Lynch এই দুইটি কোম্পানিকে ক্রয় করে কিন্তু পরবর্তীতে এর ফলে তাদের বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। ২০০৯ সালে ব্যাংক অফ আমেরিকার অবস্থা যখন খুবই খারাপ হয় তখন যুক্তরাষ্ট্রের সরকার তাদের সাহায্যে এগিয়ে আসে এবং ২০ বিলিয়ন ডলারের ঋণ প্রদান করে। ২০২৪ সালের জুলাই মাসের তথ্য অনুযায়ী ব্যাংকটির মার্কেট ক্যাপ ৩০০ বিলিয়ন ডলারের বেশি। ২০২৩ সালের তথ্য অনুযায়ী ব্যাংকটির রেভিনিউ ছিল ৯৮ বিলিয়ন ডলার এবং মুনাফা ছিল ২৮ বিলিয়ন ডলার। ২০২৩ সালের তথ্য অনুযায়ী বিশ্বব্যাপী ব্যাংকটির কর্মচারীর সংখ্যা ২ লাখ ১৩ হাজার। ২০০৮ সালের অর্থনৈতিক মন্দার সময় ব্যাংকটির যে পরিমাণ ক্ষতি হয়েছিল সেটি এখনও পুনরুদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। ব্যাংক অফ আমেরিকা প্রথম সর্বোচ্চ মুনাফা অর্জন করে ২০০৬ সালে যেটি ছিল ৩২ বিলিয়ন ডলার এবং তারপর থেকে ব্যাংকটির দুর্দশা শুরু হয় পরবর্তী ১২ বছরে তারা সর্বোচ্চ মুনাফার রেকর্ড টপকাতে পারেনি অবশেষে ২০১৮ সালে ব্যাংকটি ৩৪ বিলিয়ন ডলার মুনাফা অর্জন করে এবং এটিই ছিল ব্যাংক অফ আমেরিকার ইতিহাসে সর্বোচ্চ মুনাফা। ব্যাংকটি বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হলেও বর্তমানে ব্যাংক অফ আমেরিকা শুধু যুক্তরাষ্ট্রের নয় বরং বিশ্বের দ্বিতীয় শক্তিশালী ব্যাংক।
৩. ICBC
ICBC এর অর্থ হলো The Industrial and Commercial Bank of China। এটি চীনের সর্ববৃহৎ ব্যাংক এবং এটি চীনের সরকার দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়। ১৯৭৮ সালে যখন চীনের অর্থনৈতিক সংস্কার করা হয় তখন দেশটির ব্যাংকিং সেক্টর খুবই দুর্বল ছিল আর এই দুর্বলতাকে দূর করতে ১৯৮৪ সালে ICBC ব্যাংকটিকে প্রতিষ্ঠা করা হয়। ব্যাংকটি প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর থেকে চীনের অর্থনীতি এবং ব্যাংকিং সেক্টরে একটি বিপ্লবের সূচনা হয়। ২০২৪ সালের তথ্য অনুযায়ী ব্যাংকটির বিশ্বব্যাপী ১৬ হাজার শাখা আছে এবং শাখার হিসাবে এটিই বিশ্বের সবচেয়ে বড় ব্যাংক। ব্যাংকটির প্রধান সদরদপ্তর চীনের বেইজিং শহরে অবস্থিত। ব্যাংকটি বর্তমানে ৪০ টি দেশে তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করে যাচ্ছে এবং ২০২৪ সালের জুলাই মাসের তথ্য অনুযায়ী ব্যাংকটির মোট ৬৮৮ মিলিয়ন কাস্টমার রয়েছে। ২০০৬ সালে ব্যাংকটি হংকং স্টক এক্সচেঞ্জ এবং সাংহাই স্টক এক্সচেঞ্জে নিজেদের IPO রিলিজ করে। এটিই ছিল তখনকার সময়ের সবচেয়ে বড় IPO এবং IPO টি ২১ বিলিয়ন ডলার তুলতে সক্ষম হয়। ব্যাংকটি চীন সরকারের Belt and Road Initiative (BRI) প্রজেক্টে বহু অর্থ বিনিয়োগ করেছে। বর্তমানে ব্যাংকটি আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স, ব্লকচেইন, সেমিকন্ডাক্টর সহ বিভিন্ন উন্নত প্রযুক্তিতে বিপুল পরিমাণ অর্থ বিনিয়োগ করছে। ২০২৪ সালের জুলাই মাসের তথ্য অনুযায়ী ব্যাংকটির শেয়ার মার্কেট ক্যাপ ২৫০ বিলিয়ন ডলারের অধিক। বিনিয়োগকারীদের জন্য ব্যাংকটির শেয়ার কেনা খুবই ঝুঁকিপূর্ণ কারণ ২০০৭ সালে ব্যাংকটির শেয়ার মার্কেট ক্যাপ ছিল ৩০০ বিলিয়ন ডলারের অধিক কিন্তু বর্তমানে সেটা ২৫০ বিলিয়ন ডলার সুতরাং এই ধরনের শেয়ারে বিনিয়োগ করলে ভবিষ্যতে ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি এবং ব্যাংকটি যেহেতু চীন সরকার দ্বারা নিয়ন্ত্রিত এজন্য ঝুঁকির সম্ভাবনা আরো বেড়ে যায়। ২০২৩ সালে ব্যাংকটির রেভিনিউ ছিল ১১৮ বিলিয়ন ডলার এবং মুনাফা ছিল ৬০ বিলিয়ন ডলার। ২০২৪ সালের তথ্য অনুযায়ী ব্যাংকটিতে মোট ৪ লক্ষ ২৫ হাজার কর্মচারী কাজ করে এবং বিশ্বব্যাপী ব্যাংকগুলোর মধ্যে কর্মশক্তির দিক দিয়ে এটিই সবচেয়ে বড় ব্যাংক। ব্যাংকটি চীনের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ICBC চীনের গ্রাম এবং প্রত্যন্ত অঞ্চলগুলোতে ব্যাংকিং সেবা পৌঁছে দেওয়া সহ ডিজিটাল ব্যাংকিংয়ে অনেক উন্নতি করেছে এবং এর ফলে চীনের ব্যাংকিং সেক্টরে বিপ্লব এসেছে। বর্তমানে শেয়ার মার্কেটের ভ্যালু অনুযায়ী ICBC বিশ্বের তৃতীয় শক্তিশালী ব্যাংক।
আরো পড়ুন: বিশ্বের সেরা পাঁচটি ডিফেন্স কোম্পানি সম্পর্কে জানতে নিচের পোস্টটি পড়ুন।
৪. Agricultural Bank of China
চীন কৃষি ব্যাংক হলো চীনের একটি প্রধান বাণিজ্যিক ব্যাংক। মূলত চীনের কৃষি ব্যবস্থার উন্নয়ন এবং গ্রামের অর্থনীতির উন্নয়নের জন্য ১৯৫১ সালে ব্যাংকটি প্রতিষ্ঠা করা হয়। ব্যাংকটি প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর থেকে বিভিন্নভাবে কৃষকদের সহায়তা করে যাচ্ছে যেমন স্বল্প সুদে কৃষি ঋণ প্রদান, বিপণন প্রক্রিয়ার উন্নয়ন, কৃষিভিত্তিক অর্থনীতিকে শক্তিশালী করা ইত্যাদি। ১৯৭৯ সালে ব্যাংকটিকে চীনের কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে পৃথক করে আলাদা একটি বাণিজ্যিক ব্যাংক হিসেবে পুনর্গঠন করা হয় এবং পরবর্তীতে ব্যাংকটি গ্রামীণ অর্থনীতির পাশাপাশি শহরেও তাদের কার্যক্রম শুরু করে। ২০১০ সালে ব্যাংকটিকে শেনজেন এবং হংকং স্টক এক্সচেঞ্জে তালিকাভুক্ত করা হয়। ২০২৪ সালের জুলাই মাসের তথ্য অনুযায়ী ব্যাংকটির শেয়ার মার্কেট ক্যাপ ২০০ বিলিয়ন ডলারের অধিক। ব্যাংকটিতে বর্তমানে কর্মচারীর সংখ্যা চার লক্ষ বিশ হাজারের অধিক। বর্তমানে ব্যাংকটির মোট ঋণের পরিমাণ ৩৭০ বিলিয়ন ডলারের বেশি তবে ব্যাংকটির মোট সম্পদের পরিমাণ ৫.৮ ট্রিলিয়ন ডলারের বেশি যেটি ঋণের তুলনায় অনেক বেশি। ব্যাংকটির মাধ্যমে লক্ষ লক্ষ কৃষক কৃষি ঋণ পেয়েছে যার ফলে কৃষকেরা কৃষি কাজে ব্যবহৃত বিভিন্ন যন্ত্রপাতি ক্রয় করতে পেরেছে এবং কৃষি ব্যবস্থার উন্নতি করতে পেরেছে এজন্য বিগত কয়েক বছরে চীনের কৃষি খাত অনেক উন্নতি লাভ করেছে। চীনের কৃষি বিপ্লবের পেছনে কৃষি ব্যাংকের গুরুত্বপূর্ণ অবদান রয়েছে।
৫. Wells Fargo
ওয়েলস ফার্গো মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম প্রাচীন একটি ব্যাংক। ১৮৫২ সালে হেনরি ওয়েলস এবং উইলিয়াম ফার্গো দুইজনে কোম্পানিটি প্রতিষ্ঠা করেন। ওয়েলস এবং ফার্গো দুজনের নাম অনুসারে কোম্পানিটির নাম রাখা হয় ওয়েলস ফার্গো। কোম্পানিটি প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর থেকে তাদের প্রধান কাজ ছিল স্বর্ণ পরিবহন এবং মেইল সার্ভিস। মূলত ১৯০৫ সালে তারা ব্যাংকিং ব্যবসায় প্রবেশ করে এবং ধীরে ধীরে তারা তাদের ব্যাংকিং কার্যক্রমকে বিস্তৃত করে এবং শাখার সংখ্যা বৃদ্ধি করে। ১৯৯৮ সালে ওয়েলস ফার্গো নরওয়েস্ট কর্পোরেশনের সাথে যুক্ত হয় এবং ২০০৮ সালে ব্যাংকটি ওয়াচোভিয়া ব্যাংককে অধিগ্রহণ করে। ২০২৪ সালের তথ্য অনুযায়ী ওয়েলস ফার্গোর মোট কর্মচারীর সংখ্যা ২ লক্ষ ২৫ হাজার। ব্যাংকটির বর্তমানে শেয়ার মার্কেটের ভ্যালু ২০০ বিলিয়ন ডলারের অধিক। ২০২৩ সালে ব্যাংকটির রেভিনিউ ছিল ৮২ বিলিয়ন ডলার এবং মুনাফা ছিল ২১ বিলিয়ন ডলার। বর্তমানে ব্যাংকটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম একটি শক্তিশালী ব্যাংক।
২০২৪ সালের জুলাই মাসের শেয়ার মার্কেটের ভ্যালু অনুযায়ী সেরা পাঁচটি ব্যাংক উপরে উল্লেখ করা হয়েছে। তবে অবশ্যই মনে রাখবেন যে শেয়ার মার্কেটের ভ্যালু সবসময়ই পরিবর্তন হয় সুতরাং পরবর্তিতে ব্যাংকগুলোর অবস্থানও পরিবর্তন হতে পারে কিন্তু উপরে উল্লেখিত ব্যাংকগুলো যে পৃথিবীর অন্যতম শক্তিশালী ব্যাংক এই বিষয়ে কোন সন্দেহ নেই। উপরের পাঁচটি ব্যাংকের মধ্যে তিনটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এবং দুইটি চীনের হলেও বিশ্ব অর্থনীতিতে ব্যাংকগুলোর গুরুত্ব অপরিসীম।